• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

খানসামায় রসুনের ভাল ফলনের সম্ভাবনা       

প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২৩  

খানসামায় রসুনের ভাল ফলনের সম্ভাবনা                               
দিনাজপুরের খানসামায় এবারো কৃষকরা সাদা সোনা খ্যাত রসুনের আবাদ করছেন। বিগত বছরগুলোতে রসুনের ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় ব্যাপক সফলতা পায় কৃষকরা। উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম পাওয়ায় এ মৌসুমেও তারা রসুন চাষে ঝুঁকেছেন। 

সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এবং আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এবারও উপজেলায় রসুনের বাম্পার ফলনের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

খানসামা উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে খানসামা উপজেলায় ৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে রসুন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

খানসামা উপজেলার জুগীরঘোপা, কায়েমপুর, জোয়ার, কাচিনীয়া, আগ্রা, গুলিয়ারা ও গোয়ালডিহি গ্রামে রসুন চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত মৌসুমের শুরুতে রসুনের ভালো দাম না থাকলেও শেষ সময়ে এসে রসুনের ভালো দাম পেয়েছে কৃষকরা। ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও এ এলাকার কৃষকরা ব্যাপকহারে রসুন আবাদ করেছেন। এছাড়া এবার রসুন বীজের অঙ্কুরোদগমও ভালো হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবং প্রয়োজনীয় সেচ ও সার পাওয়ায় রসুনের চারা এখন দ্রত বেড়ে চলেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রসুনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

কৃষকরা জানায়, প্রতি একর জমিতে রসুন চাষে শ্রমিক ও চাষ বাবদ খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ বাবদ খরচ হয় আরও ৩০ হাজার টাকা। এতে করে প্রতি একরে খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে একর প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ মণ রসুন পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি মণ রসুন আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা করে হলে দাম পাওয়া যায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকার মতো। রসুন ঘরে তোলা, বাছাই ও বাজারজাতকরণে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ বাদ দিলেও লাভ থাকে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। তবে এই দামে রসুন বিক্রি করতে হলে মৌসুমের শুরুতেই বিক্রি না করে একটু অপেক্ষা করতে হয়।
 
খানসামা উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় জানান, বর্তমানে খানসামায় কৃষকদের কাছে রসুন অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে। খরচ কম ও অধিক লাভ হওয়া সত্বেও গত বছর দাম না পাওয়ায় এবছর বই ফসলের চাষ অনেকাংশ কমেছে। তারপরও রসুন চাষে কৃষককে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তবে এবার রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –